বিসিএস সহ যে কোন চাকরির পরীক্ষা অথবা যে কোন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য সমার্থক শব্দ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক। এ টপিক থেকে প্রায় প্রত্যেক পরীক্ষাতেই প্রশ্ন থাকে। তবে সমার্থক শব্দের ভান্ডার বৃদ্ধি করা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য বিষয়। আমরা সেই বিষয়টিকে সহজ করার জন্য বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় আসা প্রশ্ন থেকে সমার্থক শব্দ সংগ্রহ করে এবং সেগুলোকে বাছাই করে আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। আমাদের এই তালিকা থেকে যে কোন চাকরির পরীক্ষায় কমন পড়বেই ইনশাআল্লাহ। তাই নিচের তালিকাটি একটানা মুখস্থ করে ফেলুন।
সমার্থক শব্দ কী?
সমার্থক শব্দের অর্থ হলো সমার্থবোধক বা একার্থবিশিষ্ট শব্দ । বাংলা শব্দ ভাণ্ডারে কিছু শব্দ আছে যা অন্য একটি শব্দের প্রতিপক্ষ অর্থাৎ অন্য একটি শব্দের অনুরূপ অর্থ প্রকাশ করে, এরূপ সম-অর্থ জ্ঞাপক ভিন্ন শব্দকে সমার্থক শব্দ বা প্রতিশব্দ বলে। প্রতি সমার্থক শব্দেই থাকে ভিন্ন ভিন্ন ব্যঞ্জনা, ভিন্ন ভিন্ন ইতিহাস। সমার্থক শব্দের মাধ্যমে শব্দ ভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়, সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় এবং রচনায় শব্দ বৈচিত্র্য আসে।
সমার্থক শব্দের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
মনের ভাব সুস্পষ্ট ও যথাযথ প্রকাশ করতে হলে অবশই সমার্থক শব্দের প্রয়োজন রয়েছে। তাই সমার্থক শব্দ ব্যবহারের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। নিচে তা আলোচনা করা হলো।
১.সমার্থক শব্দ বাংলা ভাষার শব্দভান্ডারকে সমৃদ্ধ করে।
২.মননশীল ও আধুনিক সাহিত্য সৃষ্টি করতে হলে অবশ্যই সমার্থক শব্দের ব্যবহার করতে হবে।
৩.গুরুচন্ডালি দোষ এড়াতেও সমার্থক শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ করতে হবে।
৪.গাম্ভীর্যপূর্ণ বক্তব্য যথাযথ সমার্থক বা প্রতিশব্দ ছাড়া দেওয়া সম্ভব নয়।
৫.সমার্থক শব্দ ব্যবহারের ফলে আমরা মনের ভাব আরো সহজে প্রকাশ করতে পারি।
৬.ভাষাশৈলীর অবয়ব গঠনকে আরো বলিষ্ঠ করে।
৭.সৃজনশীল সাহিত্য সৃষ্টি করতে সমার্থক শব্দের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
৮. প্রতিশব্দ ভাষার সৌন্দর্য ও নান্দনিকতার প্রাণস্বরুপ।
৯.সমার্থক শব্দ কবিতার উপমা, শব্দ চয়ন ও ভাষার আতিশয্যে গাম্ভীর্যের বিকাশ ঘটাতে সহায়তা করে।
[wptb id=1466]