সরকারি ছুটির তালিকা ২০২৫



প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরকারি ছুটির তালিকা ২০২৫

ব্যাংকের ছুটির তালিকা ২০২৫

২০২৫ সালে বাংলাদেশের সব সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২৫ সালে বাংলাদেশের সব ব্যাংকে ছুটি থাকবে ২৭ দিন।
২০২৫ সালের ছুটির তালিকার মধ্যে রয়েছে : ২১ ফেব্রুয়ারি শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ১৫ ফেব্রুয়ারি শবে বরাত, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ২৮ মার্চ জুমাতুল বিদা ও শবে কদর, ২৯ থেকে ২ এপ্রিল ঈদুল ফিতর, ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ, ১ মে মহান মে দিবস, ১১ মে বুদ্ধ পূর্ণিমা (বৈশাখী পূর্ণিমা), ৫ থেকে ১০ জুন ঈদুল আজহা, ১ জুলাই ব্যাংক হলিডে, ৬ জুলাই পবিত্র আশুরা, ১৬ আগস্ট জন্মাষ্টমী, ৫ সেপ্টেম্বর ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), ১ থেকে ২ অক্টোবর দুর্গাপূজা (নবমী ও বিজয়া দশমী), ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস, ২৫ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন (বড় দিন) এবং ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংক হলিডে
সরকারি ছুটির তালিকা ২০২৫ ক্যালেন্ডার


বাংলাদেশের সরকারি ছুটি
বাংলাদেশে সরকারি ছুটি জাতীয় ঐতিহ্য, ধর্মীয় উৎসব এবং রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসকে কেন্দ্র করে নির্ধারিত হয়ে থাকে। এই ছুটিগুলো সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয় এবং সরকারি, আধা-সরকারি ও অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও তা পালন করা হয়।
জাতীয় ও ধর্মীয় ছুটি
বাংলাদেশে সর্বাধিক ছুটি ধর্মীয় উৎসবের সময় হয়ে থাকে। মুসলমানদের ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা এবং ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে সরকারি ছুটি দেওয়া হয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা, কালীপূজা ও জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ছুটি থাকে। বৌদ্ধদের বুদ্ধ পূর্ণিমা এবং খ্রিষ্টানদের বড়দিন উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করা হয়।
জাতীয় দিবসগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
২১ ফেব্রুয়ারি: শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
২৬ মার্চ: স্বাধীনতা দিবস
১ মে: শ্রমিক দিবস
১৫ আগস্ট: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস
১৬ ডিসেম্বর: বিজয় দিবস
ঐচ্ছিক ছুটি
ধর্মীয় ও পারিবারিক প্রয়োজনে কিছু ঐচ্ছিক ছুটির ব্যবস্থাও রয়েছে। সরকারি কর্মচারীরা বছরে নির্দিষ্ট সংখ্যক ঐচ্ছিক ছুটি গ্রহণ করতে পারেন, যা সাধারণত ধর্মীয় বা ব্যক্তিগত উৎসবের সঙ্গে সম্পর্কিত।
বিশেষ ছুটি
সরকার বিশেষ প্রেক্ষাপটে (যেমন জাতীয় নির্বাচন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি) অতিরিক্ত ছুটি ঘোষণা করতে পারে।
উপসংহার
সরকারি ছুটি শুধু বিশ্রামের সুযোগ নয়, বরং তা দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রতিফলন। এসব ছুটি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এবং নিজেদের শিকড়কে স্মরণ করার সুযোগ করে দেয়।