আমার ফাঁসি চাই বই পিডিএফ
সবাই কেনো বলছে বাংলাদেশকে ২য় বার স্বাধীন করা হয়েছে! এতে মূল ২য়-স্বাধীন করা সময়ে অবদান রাখা যোদ্ধা, নির্যাতনের শিকার হওয়া মানুষদের অস্বীকার করা হচ্ছে না? আমি তো দেখছি সব মিলিয়ে বাংলাদেশ ৩য় বারের মতো স্বাধীন হয়েছে।
সবসময় ২টা লাইন এই শুনেছি, ‘এবারের সংগ্রহ আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম’। যতটুকু জানি ভাষনের সময় আরো লম্বা ছিলো। তাহলে কেনো পুরোটা গোপন করে শুধু ২টা লাইন এই শোনানো হয়! হয়তো ভাঙ্গা-ভাঙ্গা ভিডিও হিসেবে দেখেছি, কিন্তু এমন ভাবে বুঝাতে দেয় নি সরকার, যে শেখ মুজিবুর তখন স্বাধীন বাংলার ঘোষণা করতে গিলেও না-করে বরং পাকিস্তানিদের বাংলাদেশে ডুকার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলো।
শেখ হাসিনার ২-ভাইদের জ্ঞান-কর্ম নিয়ে কতো সুনাম রঙ্গ করা হতো। অথচ ২-মেধাবীদের আইডল হিসেবে না রেখে নিষ্পাপ-অবুঝ রাসেলকে কেনো হাইলাইট করা হলো! বুঝলাম, ২জনের যা সত্যিকারের রূপ ছিলো বাবার দাপটে, তাতে যদি ২জনকে হাইলাইট করতো তাহলে তাদের অপকর্ম নিয়ে মানুষের মুখে চলমান এবং কানাকানি চলায় দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়তো সত্য ইতিহাস। তাই রাসেলকে টেনে ২জনের রহস্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। সাইকোলজিক্যাল ভাবে খেলতে চেয়েছে।
আমার খেয়ালে আসা বিষয়গুলো উল্লেখ করতে থাকলে শেষ হবে না। তবে এতোটুকু বুঝেছি, শেখ মুজিবুরের স্বৈরাচার পরিবারকে ধ্বংশ করে ২য় বার দেশ স্বাধীন করেছিলো। আর ২০২৪ সালে ৩য় বার। সময়টা এরকম, শেখ পরিবারকে নিয়ে বিরুদ্ধে একটা কথা বললেই সবাই সহমত পোষণ করবে। বাংলাদেশের জাতীয় বাণী রাখা উচিত বলে আমি মনে করি, ‘ভাই একটা গুজব শুনাই’?
ইতিহাস সম্পূর্ণ সত্য কখনো হয় না। কারণ ইতিহাস সে লিখে, যে স্বাধীন হয়েছে। পরাধীনরাতো নিঃস্ব হয়ে যায়। তাই স্বাধীন জাতি নিজের মনমতো বানোয়াট ইতিহাসও লিখতে পারে। মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ুর রহমান রেন্টু এর লিখা ‘আমার ফাঁ*সি চাই’ বইটির অনেক পয়েন্ট আমার কাছে সত্য বলেই মনে হয়েছে। বিশেষ করে উপসংহার যখন পড়ি, লেখকের লেখার প্রতি প্রশ্ন তুলার ব্যাপারটা যেনো আমার নাই হয়ে গেলো। যদিও লেখক অতিরঞ্জিত করতে পারে, কিন্তু মিথ্যার আশ্রয় নেয় নি বলেই মনে হয়।
লেখক যদি মিথ্যার আশ্রয় নিতো, শেখ হাসিনা প্রমাণ ও সত্যের সাহায্যে লেখকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে পারতো জনসম্মুখে। কারণ লেখক জনসম্মুখে বইটা প্রকাশ করেছে। কিন্তু শেখ হাসিনার কাছে যেহেতু লেখকের বিপক্ষে সত্য তুলে ধরার মতো কিছু নেই, বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার মতো শক্ত খুটি নেই, তখনই স্বৈরাচারের মতো রাজনৈতিক ক্ষমতায় বইটাকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। এ থেকেও একপ্রকার প্রমাণ হয় লেখক সম্ভবত মিথ্যার আশ্রয় নেয় নি।
আমার ফাঁসি চাই বই পিডিএফ